বান্দরবানের পাহাড়ি জনপদে জুম চাষ কেবল কৃষিকাজ নয়, এটি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত এক ঐতিহ্য। প্রতিবছর জুমিয়ারা দুটি প্রধান পূজা পালন করেন—“খ্যং সাঙ সহ্গং” এবং “বঙ্ মাহ্”। এর মধ্যে খ্যং সাঙ সহ্গং পূজা অনুষ্ঠিত হয় যখন জুমের ধান গাছে শিষ ধরতে শুরু করে।
এই পূজার মূল উদ্দেশ্য হলো ফসলের প্রাচুর্য কামনা, শস্যের সমৃদ্ধি, এবং যেন পোকামাকড়, বন্যপ্রাণী বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ফসলের ক্ষতি না করে সে প্রার্থনা করা। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস, এই পূজা তাদের কৃষিকাজে এক আধ্যাত্মিক ঢালস্বরূপ ভূমিকা পালন করে।
অন্যদিকে, “বঙ্ মাহ্” পূজা পালন করা হয় ধান কাটার সময় বা কাটার ঠিক আগে। তখন ভরে ওঠে কৃতজ্ঞতার আবহ, ফসল ঘরে তোলার আনন্দ এবং সমবেত প্রার্থনার সুর।
চিত্রে দেখা যাচ্ছে—জুম চাষিদের খ্যং সাঙ সহ্গং পূজা। প্রকৃতি, বিশ্বাস ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে পাহাড়ি সমাজ ফসলের আশীর্বাদ প্রার্থনায় সমবেত হয়েছেন।
এটি প্রতিবছর পূজা করে থাকে প্রকৃতি যেন তার কর্মস্থান দেখবাল করে রাখে সে মনোজায়গা থেকে এই প্রকৃতির পূজা। জুমে চাষ করা থাকে, ধান,মরিচ,কলা,হলুদ, আদা,মারফা,কুমড়া,ভুট্টা,তিল, সহ ভিন্ন-ভিন্ন ফসল। তাই জুমিয়ারা প্রতিবছর জুমের পূজা বা প্রকৃতির পূজা পালন করে থাকে, জুম চাষকে ঘিরে এ ধরনের পূজা ও আচার-অনুষ্ঠান পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে জীবন্ত করে তোলে।
আরো পড়ুন