বান্দরবানে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারনে লামা উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক পর্যটন রিসোর্ট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
গতকাল লামা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুতি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত মোঃ মঈন উদ্দিন।
তিনি জানান কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢালুতে অবস্থিত রিসোর্টগুলোতে ঝুঁকি বৃদ্ধির আশংঙ্কা করছি।
প্রাণহানির আশঙ্কায় মিরিঞ্জা ভ্যালি, সুখিয়া ভ্যালিসহ লামার বিভিন্ন পর্যটন স্পটের ৬০ টি রিসোর্ট পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে গতকাল সকাল ৬ টা থেকে সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত জেলায় ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি পাত রেকর্ড হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল।
তিনি জানান অতি ভরী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পাশাপাশি আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকবে।জেলা ও উপজেলায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে পর্যটন স্পট, রিসোর্ট ও কটেজ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন লামা পর্যটন মালিক সমিতি।
আবহাওয়ার উন্নতি হলে ঈদুল আযহার আগে পর্যটনকেন্দ্র গুলো খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
লামা পর্যটন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, অ্যাডভোকেট সাদেকুল মাওলা জানান বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে ঈদের আগে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়েছি প্রশাসনের কাছে।লামার পর্যটন শিল্পে যেন কোন নেতিবাচক প্রভাব না পরে এ জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এদিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা সদর সহ ৭ টি উপজেলা ২ টি পৌরসভা,ও ৩৪ টি ইউনিয়নে স্থানী প্রশাসন,রেডক্রিসেন্ট,ফায়ার সার্ভিস,গ্রাম পুলিশ এর পক্ষ হতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।জনসচেতনতায় মাইকিং অব্যাহত আছে।সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে পৃথক দুর্ঘটনায় আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২ জনের প্রানহানীর খবর পাওয়া গিয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা সদর সহ ৭ টি উপজেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি সামল দেয়ার সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে বলে নিশ্চিত করেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক, শামীম আরা রিনি।
পাহাড় ও অধ্যুষিত ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণ কে ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সড়ে যেতে বলা হচ্ছে।রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এখনো বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে।