বান্দরবান জেলা সদর সহ সকল উপজেলায় নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারবেন জেলায় আগত সকল পর্যটক।আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ হতে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ই অক্টোবর) জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে, এই তথ্য নিশ্চিত করেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।
জেলা ও উপজেলার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক জানান,সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে,তবে আজ সকালে আলীকদম উপজেলায় বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছে, বলে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন,এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পরিস্থিতিও স্বাভাবিক আছে,উপজেলায় কোন রেড় এলার্ট, জারি করা হয়নি।আগত পর্যটক,স্থানীয় পর্যটক ও বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে দুঃশ্চিতার কোন কারন নেই,নির্বিঘ্নে তারা ভ্রমণ করতে পারবেন।
তিনি জানান সাম্প্রতি গত ১লা অক্টোবর থেকে বান্দরবানের অন্যতম দর্শনীয় পর্যটন স্পষ্ট কেওক্রাডং দীর্ঘদিন পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে,আমরা প্রচুর সাড়া পাচ্ছি,ইতিমধ্যে জেলায় প্রচুর পর্যটক সমাগম হয়েছে।
প্রসঙ্গত খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর,প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গত কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে,ঘটনায় বিক্ষোভকারীরা তিন পার্বত্য জেলা,অবরোধ কর্মসূচিরো ডাক দেয়,তবে অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বান্দরবানে ঘটনার প্রতিবাদে থানচি,রুমা,রোয়াংছড়িতে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করেছে আন্দোলনকারীরা,কোথাও কোন অপ্রিয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে নিশ্চিত করা হয় প্রশাসনের পক্ষ হতে।
আরো পড়ুন
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বান্দরবান সেনা জোনের আর্থিক অনুদান প্রদান