গত ১০ জুলাই দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় ‘ব্যক্তিগত বাগানকে প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ লোপাট’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে ৪১ কোটি টাকা খরচের কথা বলা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৩ জুলাই’পাহাড়ে প্রকল্পের নামে প্রতারণা’ শীর্ষক একটি ফলোআপ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে খরচ হয়েছে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ অর্থ। কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমোদনক্রমে বাকী অর্থ ফেরত প্রদান করা হয়েছে বা বেশ কিছু অর্থ প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বরাদ্দ হয় নি।
উভয় প্রতিবেদনে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপন করাহয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে অসত্য, মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।আমি মো. জসীম উদ্দিন, সাবেক প্রকল্প পরিচালক হিসেবে স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি প্রতিবেদনগুলোতে আমার সম্পর্কে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তার সঙ্গে আমার কোনোপ্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড বা ছলচাতুরিরযোগসূত্র নেই। প্রকল্পের বরাদ্দ এবং ব্যয়ের প্রতিটি ধাপ সরকারি বিধি-বিধান অনুসারে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্য আমি প্রতিবেদককে সঠিকভাবে অবহিত করেছি।
আমরা প্রকল্পের আওতায় ৪টি জিএফএস নির্মাণে সফল হয়েছি, যা সত্য। সময় সংকটের কারণে বাকি কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। অব্যয়িত অর্থ যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়েছে, যার প্রমাণ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে যাচাই করা যেতে পারে।
প্রতিবেদনে উল্লেখিত “চারা গাছের গোড়ায় পানি দেওয়া আমার কাজ নয়”–এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলতে চাই,একটি বৃহৎ পরিসরের সৃজিত বাগানে ব্যক্তিগতভাবে পরিচর্যা করা বাস্তবসম্মত নয়। প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধান আমি যথাসাধ্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি।
জনবল সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা আমার নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।
আমি দৃঢ়ভাবে দাবি করছি, প্রকল্প পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনোপ্রকার গাফিলতি বা বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি।
অথচ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে।
অতএব, আমি এই রিজয়েন্ডারের মাধ্যমে উক্ত দুটি প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করছি এবং অনুরোধ করছি,ভবিষ্যতে এ ধরনের ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য।
পাশাপাশি, আমার এই প্রতিবাদপত্রটি আপনার সম্মানিত দৈনিকে প্রকাশ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিবেদক
মো. জসীম উদ্দিন
সদস্য (ফিন্যান্স ও সাবেক প্রকল্প পরিচালক),
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাঙ্গামাটি।