বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয় নেওয়ার পর স্বেচ্ছায় নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে গেছেন তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ২০টি পরিবার।
৩৪ বিজিবির তত্ত্বাবধানে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে তাদের প্রত্যাবর্তন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রথম দফায় ১০টি পরিবার এবং ২৩ জুলাই (বুধবার) দ্বিতীয় দফায় আরও ১০ টি পরিবার ফিরে যান। দুই দিনে মোট ৭১ জন তঞ্চঙ্গ্যা নাগরিক সীমান্ত পিলার ৩৭-এর ‘আমবাগান’ এলাকা দিয়ে মিয়ানমারে প্রবেশ করেন।
#
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘর্ষের ফলে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বেশ কয়েকটি তঞ্চঙ্গ্যা পরিবার বাংলাদেশে পালিয়ে এসে ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ী তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় আশ্রয় নেয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজ এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় তারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
প্রত্যাবর্তনকারী পরিবারগুলোর তালিকায় রয়েছেন ২২ জুলাই (মোট ৪৮ জন):ওমাংচিং, ওচিংদা, মানিক্কা, মংবো, মংপুচা, কিংলা, চাতাই মং, উথায়লা, লাচেং ও মংচু তঞ্চঙ্গ্যা।
২৩ জুলাই (মোট ২৩ জন): মংয়েছা, মংয়েথুয়াইং, কিংলা থুয়াইং, চিংলা প্রু ও গাইতসার তঞ্চঙ্গ্যা।
কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের ৩৪ বিজিবির তত্ত্বাবধানে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে এবং সম্মানজনক পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকদ্বয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব পরিবার নিজ ইচ্ছায় স্বদেশে ফিরে গেছে, তাদের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয়নি।
এদিকে ৩৪ বিজিবির অধিনস্থ বেশকটি সীমান্ত এলাকা সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে,অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারিসহ বিজিবি সদস্যেদের টহল জোরদার আছে।
আরো পড়ুন -