এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের করা গত ৪ঠা জুলাই পঞ্চগড়ের এক জনসভায় "দূর্নীতিবাজদের বান্দরবান পাঠানোর দায়িত্ব আমাদের"তার করা একটি মন্তব্যের জন্য বান্দরবানের জনসাধারণের কাছে সার্জিস আলমকে প্রকাশ্যে, আনুষ্ঠানিকভাবে ও নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।
ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে এনসিপি’র সকল কার্যক্রম ও উপস্থিতি সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের বান্দরবান জেলা সভাপতি ও বৈষম্য বিরোধী, জুলাই ছাত্র আন্দোলনের বান্দরবানের অন্যতম ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ ইকবাল।
রবিবার (২০শে জুলাই) সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে বান্দরবানের ছাত্র সমাজের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবী তুলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন,যেসব সরকারি কর্মকর্তা “শাস্তিস্বরূপ বদলি” হিসেবে বান্দরবানে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপমানজনক বদলির চর্চা বন্ধ করতে হবে।পার্বত্য চট্টগ্রামকে “বিপজ্জনক” বা “চাঁদাবাজ/দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জায়গা” হিসেবে উপস্থাপন রোধে সরকারকে কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসময় ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই—বান্দরবানকে অবমূল্যায়ন বা অবমাননা করা হলে আমরা তার রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবো।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ের “জুলাই পদযাত্রা” চলাকালে এনসিপি নেতা সার্জিস আলম একটি বক্তব্যে বান্দরবানকে “শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাঠানোর জায়গা” হিসেবে উল্লেখ করেন। এই মন্তব্য শুধুমাত্র দুঃখজনক নয়—এটি চরম নিন্দনীয়, অবমাননাকর ও প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
এ ধরনের কটূক্তি একটি জেলার মর্যাদাকে হেয় করার পাশাপাশি গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও অবহেলার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।
ছাত্র নেতৃবৃন্দ জানায় বিষয়টি জানার পর,আমরা স্থানীয় এনসিপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেন যে ১৯ জুলাই বান্দরবানে অনুষ্ঠিত “জুলাই পদযাত্রা” অনুষ্ঠানে সার্জিস আলম জনসম্মুখে ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটে তার বিপরীত।
সার্জিস আলম গত ১৯শে জুলাই অনুষ্ঠানে উপস্থিতই ছিলেন না, এবং দলের কোনো কেন্দ্রীয় নেতা এই বিষয়ে একবাক্যও বলেননি। বরং অনুষ্ঠান শেষে আমরা মঞ্চে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি স্মরণ করালে তারা কর্ণপাত না করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি আসিফ ইকবাল, আমিনুল ইসলাম, খালিদ বিন নজরুল, হাবিব আল মাহমুদ, জুবায়ের হোসেন, রাশেদুল ইসলাম, হাসান আল বান্না, জয়নাল আবেদীন, তারেকুল ইসলাম সহ ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
আরো পড়ুন -
জুলাই শহীদ মেমোরিয়াল প্লান্টেশন উপলক্ষ্যে বান্দরবানে বৃক্ষরোপন কর্মসুচী