বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজ নগর ইউনিয়নে পারিবারিক কলহ নিষ্পত্তির সালিশি বৈঠক চলাকালে ছুরিকাঘাতে জেরে আব্দুর রহমান (২৩) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্বচাম্বী,আমতলী মুসলিম পাড়ায় শফিক উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহমান ওই এলাকার মৃত মজু মিয়ার ছেলে।ঘটনার পর স্থানীয়রা পাঁচ জনকে আটক করে রাখে,পরে পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন চট্টগ্রাম জেলার চুনতি ইউনিয়নের হাজিরপাড়া এলাকার মোঃ কামাল উদ্দিন এর তিন ছেলে মোঃ সোহেল (২২),মোঃ জাহেদ (৩০),মোঃ রিয়াজ (২৪),অন্য দুইজন মহিলা হলেন,আজিজ নগর,মুসলিম পাড়ার আব্দুর শুক্কুর এর স্ত্রী, মিনু আক্তার (৩৫),চট্টগ্রামের চুনতি ইউনিয়নের,মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা কামাল উদ্দিন এর স্ত্রী, হালিমা বেগম(৫৫)।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ছৈয়দুর রহমান জানান, নিহত আব্দুর রহমানের বড় ভাই আব্দুর শুক্কুরের সঙ্গে তার স্ত্রী মিনু আক্তারের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সোমবার রাতে স্থানীয় আজিজ মেম্বারের দোকানের সামনে সালিশি বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো।
বৈঠক শুরুর আগেই মিনু আক্তারের তিন ভাই আব্দুর রহমানের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে তারা তিনজন মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার(১৫ই জুলাই) দুপুরে বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, ভিকটিম আব্দুর রহমানের সাথে তার ভাই আব্দুল শুক্কুরের স্ত্রী মিনু আক্তারের মধ্যে পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে গত ১৪ই জুলাই মিনু আক্তারের তিন ভাই ভিকটিমকে মারধর করে।
মারামারির একপর্যায়ে মিনু আক্তারের ছোট ভাই মোঃ সোহেল তার সাথে থাকা ধারালো চাকু দিয়া ভিকটিম আব্দুর রহমানের বুকে ও পেটে উপর্যুপরি আঘাত করলে ভিকটিম ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া পদুয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা পুলিশের দেয়া প্রেশ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়,ঘটনায় জড়িত পাচঁ জনকে গ্রেফতার সহ খুনে ব্যাবহৃত চাকু জব্দ ও পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আরো পড়ুন -বান্দরবানে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিস ভাংচুর,সন্দেহের আঙ্গুল আওয়ামী দুর্বৃত্তের দিকে