1. bandarbansongbad@gmail.com : বান্দরবান সংবাদ : বান্দরবান সংবাদ
  2. info@www.bandarbansongbad.com : বান্দরবান সংবাদ :
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৬:২১ অপরাহ্ন

বান্দরবানে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত অব্যাহত,ঝড়ের কারনে ২ উপজেলায় ২ জনের মৃত্যু

মোঃ শহীদুল ইসলাম, নিউজ ডেস্ক।
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

▪️ আলীকদম উপজেলায় বিদ্যুৎ বিহীন ৪ দিন।

▪️ প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় পৃথক দুর্ঘটনায়,আলীকদম উপজেলায় ১ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১ জনের মৃত্যু।

 

বান্দরবানে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল এর দেয়া তথ্য মতে রবিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৫৩ মিঃমিঃ রেকর্ড করা হয়েছে।ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের কারনে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে, পাহাড় ধসের সম্ভাবনা বাড়ছে।বৃষ্টির গতি কমার কারনে জেলার সাঙ্গু,মাতামহুরী নদীর পানি বিপদ সিমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ের মাটি পড়ে জেলা সদরের সাথে রুমা,থানচি উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে,পাহাড়ের মাটি সরানোর কাজে সেনাবাহিনীর ইউনিট কাজ করছে।

এদিকে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় গাছ ভেঙে আলীকদমে এবং বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত শনিবার ঝড়ের সময়ে আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের মেনরত পাড়ায় বাড়ির উঠানে গাছ ভেঙে পড়ে ১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসনের পক্ষ হতে।নিহতের নাম তাইপাও ম্রো।

সে স্থানীয় বাসিন্দার রিংয়ং ম্রো এর মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল মুমিন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিছামারা এলাকায় জমিতে গরু বাঁধতে ঝড়ে ছিড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।নিহতের নাম নূর ফয়েজ (৪০)।সে দক্ষিণ বিছামারা এলাকার বাসিন্দার বদিউল আলমের ছেলে।বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসরুরুল হক।

ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের কারনে আলীকদম উপজেলায় ৩ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।এ বিষয়ে চকরিয়া বিদ্যুৎ বিভাগ,আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্টদের মোবাইলে একাধিক বার ফোন করেও কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী জনসাধারণ কে নিরাপদ আশ্রয়ে সড়ে যেতে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ হতে সচেতনতা মাইকিং অব্যাহত।

প্রশাসন পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও ফায়ার সার্ভিস ও রেডক্রিসেন্টের লোকজন মাইকিং করে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে উদ্ভুদ্ধ করছেন।

দূর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি সামল দেয়ার সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে বলে নিশ্চিত করেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক, শামীম আরা রিনি।তিনি জানান ইতিমধ্যে উপজেলার সকল নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সহ উপজেলা প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সরজমিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।পাহাড় ও অধ্যুষিত ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণ কে ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সড়ে যেতে বলা হচ্ছে।রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এখনো বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে।

 

 

আরো পড়ুন –বান্দরবানে ২৪ ঘন্টায় ২২২ মিঃমিঃ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড, উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট