বান্দরবান পার্বত্য জেলা,৪৪৭৯.০৩ বর্গ কিলোমিটারের এই পার্বত্য অঞ্চলটি দেশের একমাত্র জেলা যেখানে বাঙ্গালী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ১১ টি জাতিগোষ্ঠীর বসবাস,জেলার সমতল অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি দূর্গম অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জনসাধারণের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশের সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিয়েছেন নানা উদ্যোগ।
<span;>এরই ধারাবাহিকতায় বান্দরবানের দূর্গম উপজেলা থানচি'র বলিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ২৭০ জন প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ বিতরণ করেছে বিজিবি।
সুশিক্ষিত প্রজন্মই একটি দেশের প্রকৃত সম্পদ। বিজিবি সীমান্ত সুরক্ষা ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সবসময় দেশের মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত আছে।আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত জাতির কর্ণধার। তাদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব।
রবিবার (২৯শে জুন) বিজিবি'র বান্দরবান সেক্টরের আওতাধীন বলিপাড়া জোন (৩৮ বিজিবি) এর উদ্যোগে বলিবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত বিভিন্ন শ্রেণীর সর্বমোট ২৭০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন,বলিপাড়া জোনের, জোন কমান্ডার,লেঃ কর্নেল মোঃ জহিরুল ইসলাম।
এসময় তিনি শিক্ষক,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষা উপকরণ বিতরনের এই অঞ্চলের প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি দেশপ্রেম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণকে অনুরোধ করেন।ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে বিজিবির পক্ষ হতে এ ধরণের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন এবং শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী, খাতা, কলম, ইরেজার, পেন্সিল ও চকলেট বিতরণ করেন লেঃ কর্নেল মোঃ জহিরুল ইসলাম।
এসময় বিজিবির উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক,শিক্ষিকা,অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের ২ই মে বিজিবি'র আলীকদম ব্যাটালীয়ন(৫৭বিজিবি) জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের দুর্গম সীমান্তবর্তী ত্রীমতি কারবারী পাড়ায় নিজ উদ্যোগে স্থাপন করেছিলেন ওয়াংরাই পাড়া বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়।তাদের এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্ব মহলে।
বিজিবি'র কল্যানে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর প্রথম বারের মতো ঐ এলাকার ৫ টি পাড়ার ৪২ টি পরিবারের শিশুরা পেয়েছিলো শিক্ষার আলোয় নিজেদের আলোকিত করার সুযোগ।
আরো পড়ুন -নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে মাদক সহ ধরা পড়লো দুই নারী পাচারকারী