1. bandarbansongbad@gmail.com : বান্দরবান সংবাদ : বান্দরবান সংবাদ
  2. info@www.bandarbansongbad.com : বান্দরবান সংবাদ :
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন

এক কাপড়ে অমানবিকভাবে ৮০ জনকে পুশ করেছে বিএসএফ

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

অমানবিক এক ভোরের সাক্ষী হলো বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সীমান্ত অঞ্চল। বুধবার (৭ মে) ভোররাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) অন্তত ৮০ জন মুসলিম নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে জোরপূর্বক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুপ্রবেশকারীরা সবাই চরম হতবিহ্বল ও আতঙ্কগ্রস্ত। অধিকাংশের গায়ে ছিল শুধু এক কাপড়। অনেক নারী ও শিশু রয়েছে, যাদের চোখেমুখে ছিল গভীর ভয় ও অনিশ্চয়তা।

মাটিরাঙ্গা উপজেলার দক্ষিণ শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন, তাইন্দং-এর আচালং সীমান্তে ২৩ জন এবং পানছড়ি উপজেলার রুপসেন পাড়া সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে পুশ-ইন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের অধিকাংশ নারী এবং শিশু।স্থানীয় জনগণ এ ঘটনাকে একটি মানবিক সংকট হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ধর্মীয় কারণে নিপিড়নের শিকার মানবাধিকার লঙ্ঘন মনে করছেন অনেকেই। এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।

এ ঘটনাটি শুধুই একটি সীমান্ত লঙ্ঘনের বিষয় নয়, এটি প্রশ্ন তোলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ড এবং প্রতিবেশী দেশের নৈতিক দায় নিয়ে। দক্ষিণ শান্তিপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল হাসেম বলেন, ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বেড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ভারতীয় নাগরিকদের আবুল মেম্বারের বাড়ির সামনে দেখেছেন। সকলেই ভীষণ আতঙ্কগ্রস্ত এবং ক্ষুধার্ত ছিল। তিনিসহ আরও কয়েকজন মিলে পাশের দোকান থেকে মুড়ি, চানাচুর কিনে তাদের খাবারের জন্য দিয়েছেন। তাদের বিষয়ে পাশের বিজিবি ক্যাম্পে খবর দিয়েছেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আলমসহ বিজিবির ঊর্ধতন কর্মকর্তারা তাইন্দং এর আচালং এবং দক্ষিণ শান্তিপুর এলাকায় অনুপ্রবেশকারীদের সাথে দেখা করে কথা বলেছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে আপাতত তাদের স্থানীয় দুইজনের বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি।

অনুপ্রবেশের বিষয়ে জানতে বিজিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও বিজিবির পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি। পলাশপুর জোন অধিনায়ক সেক্টর হেডকোয়ার্টার থেকে তথ্য সংগ্রহের অনুরোধ জানিয়েছেন।

বিজিবির পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে জানিয়েছেন নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক বিজিবির একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের ভারপ্রাপ্ত দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, রাত আটটা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি জেলায় সর্বমোট ৮০ জনের মতো অনুপ্রবেশের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি জানান, অনুপ্রবেশের বিষয়ে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বিজিবি। তবে বর্তমানে অনুপ্রবেশকারীদের মানবিক সহযোগিতা হিসেবে খাবারের ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন।

এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, সীমান্তের ওপারে বিভিন্নস্থানে এখনো অনেক লোকজন জড়ো করে রেখেছে বিএসএফ। যেকোনো মূহুর্তে বাংলাদেশে ঠেলে দিতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।