বান্দরবানে এবারের ঈদুল আযহা কে কেন্দ্র করে জেলার কয়েকটি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসেছে।শেষ মুহূর্তে ক্রেতারা তাদের পছন্দের পশুটি কিনতে ভীড় জমাচ্ছেন কোরবানি পশুর হাটে।
হাটে ক্রেতাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় স্থান পাচ্ছে পাহাড়ি আবহাওয়া ও প্রকৃতিতে বেড়ে উঠা গৃহপালিত পাহাড়ি গরু।দাম নিয়েও সন্তুষ্ট আছেন হাটে আশা ক্রেতারা।
স্থানীয় রাজারমাঠে, কালাঘাটা, বালাঘাটা ও বাকিছড়া, গোয়ালিয়াখোলা, চেমীরমুখ এলাকায় বসেছে কোরবানি গরু ছাগলের হাট।
জেলার রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাহাড়ী-বাঙালী গ্রামগুলো থেকে গরু ছাগল বিক্রির জন্য হাটগুলোতে নিয়ে আসছেন স্থানীয় বিক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (৫ই জুন) হাটগুলোতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানি পশু কেনাবেচা। ছোটবড় অসংখ্য গরু ছাগল উঠেছে হাটে।কোরবানির ঈদ কে সামনে রেখে খামারির মোটাতাজা পশুর চেয়ে গৃহপালিত পাহাড়ের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
হাটে গরুর পাশাপাশি, বিভিন্ন জাতের ছাগল কিনছেন ক্রেতারা।
কোরবানির হাটো আশা ক্রেতারা নিজেদের সাধ্য মতো পছন্দের পশুটি কিনে ফিরছেন ঘরে।
এদিকে কোরবানির হাটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ হতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।পশুর হাটে পুলিশ সদস্যদের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়,এছাড়া সেনাবাহিনী ও র্যাব -১৫ এর টহল টিম হাটের চারপাশের নিরাপত্তায় টহলরত দেখা যায়।
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মো.শহীদুল্লাহ কাওছার বলেন, কোরবানি পশু হাটগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।জাল নোট শনাক্তে এক্সপার্ট বসানো হয়েছে। হাটগুলোতে পশু কেনাবেচা ও পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ভূমিকা পালন করছে।
আরো পড়ুন –বান্দরবান জেলা বিএনপির ৪৬ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দিলো কেন্দ্রীয় বিএনপি