বাংলাদেশের বয়স ৫৪ বছর হয়ে গেছে উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্যরা যখন ডিসি ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে যায় তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মকর্তারা প্রশ্ন করেন আপনারা যদি আদিবাসী হোন তাহলে আমরা বাঙ্গালীরা কি?১৯৯১ সালের ২৩শে ডিসেম্বর জাতিসংঘে আদিবাসী দিবস ঘোষণার জন্য ৫৪ ভোট পড়েছিলো তার বিপক্ষে ২৫৪ ভোট পড়েছিলো আদিবাসী দিবস পালনের পক্ষে।আদিবাসী জাতিসংঘে ফয়সালা হয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
“আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যত গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগ” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে আজ শনিবার (৯ই আগস্ট) সকালে জেলার রাজার মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পার্বত্য অঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা।
এসময় তিনি বলেন মানুষ দোষারোপ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি বিজিবির প্রতি,তারা স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট এর পক্ষে জনগণের পক্ষে নয়,কিন্তু গত ৫ই আগস্টের সরকার পতনের আন্দোলনের পর মাত্র ৫ দিন সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে থাকায় সেনাবাহিনী শুধু বাংলাদেশে নয় গোটা বিশ্বে তার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরে পেয়েছে।
এসময় বকক্তারা বলেন এতো বছর পরেও সংবিধানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, জাতিস্বত্বা সহ নানা নামে আমাদের অবহিত করে,আদিবাসী স্বীকৃতি না দিয়ে আমাদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে বিগত সরকার।
বক্তারা বলেন সারাবিশ্বের মতো আমরাও এই দিবসটি পালন করছি।গতকাল থাইল্যান্ডের সিনেটে তাদের দেশের আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিয়েছে।আমরা বাংলাদেশে যারা ৫৪ টি আদিবাসী জনসত্বা আমাদের এখনো রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় নি।আমরা চাই সরকার আমাদের আদিবাসী স্বীকৃতি দিক।
এদিকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসকে কেন্দ্র করে নতুন প্রজন্মের চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক।আন্দোলন সংগ্রামের পরেও সংবিধানে আদিবাসী স্বীকৃতি এখনো প্রতিষ্ঠিত না হওয়াকে দুঃখজনক মনে করছেন তারা ,দ্রুত স্বীকৃতি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি দাবী জানান নতুন প্রজন্মের তরুণ,তরুনীরা।
এদিকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন কমিটির সদস্য, তনয়া ম্রো।
এসময় ডাঃ মংউষাথোয়াই মারমা এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি, খান আসাদুজ্জামান মাসুম,সাংবাদিক কথা সাহিত্যিক ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, এহসান মাহমুদ সহ স্থানীয় ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ।
এর আগে সকল জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে গণসংগীত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে নৃত্য পরিবেশন করা হয়।আলোচনা সভা শেষে বর্ণাঢ্য র্যাালী অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন
ছয় মাসের মধ্যে ১০০ স্কুল পাবে স্টারলিংক ইন্টারনেট: সুপ্রদীপ চাকমা