1. bandarbansongbad@gmail.com : বান্দরবান সংবাদ : বান্দরবান সংবাদ
  2. info@www.bandarbansongbad.com : বান্দরবান সংবাদ :
বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:২৭ অপরাহ্ন

বান্দরবানের রুমায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আটক তিন,সামাজিক সালিশে বিচার নিয়ে সমালোচনা

নিজস্ব সংবাদদাতা।
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ষণের মতো জঘন্যতম সামাজিক অপরাধ বেড়েই চলেছে পাহাড়ে,এই ধরনের অপরাধে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কেউ জড়িত থাকলে,সামাজিক বিচারের মাধ্যমে তা সুরাহা করা হয়,বাংলাদেশের চলমান নারী ও শিশু নির্যাতন অথবা ধর্ষণ আইনে অপরাধীদের বিচার হয়না বা রহস্যময় কারনে ধর্ষিত ভিকটিমের পরিবার থানায় মামলা করতে আশে না। এমনি এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর তা প্রকাশ্যে এসেছে।

বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের আলেচু পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দার পঞ্চম শ্রেনী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সিংমেহ্লা মারমা নামে এক শিশুকে একই এলাকার পাঁচজন যুবক পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে।
এই ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত মঙ্গলবার(১৯শে আগস্ট) স্থানীয় মেম্বার, হেডম্যান ও পাড়া প্রধানসহ (কারবারী) পাড়ার গণমাণ্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে সামাজিক শালিশ বিচার বসায়।

ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টায় মারমা জনগোষ্ঠীর সামাজিক আইনের রীতিনীতি অনুসারে ধর্ষিত পরিবারকে চিকিৎসা খরচের জন্য পাঁচজন ধর্ষক কে ১০হাজার টাকা করে ৫০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভিকটিমের বাবা-মা কে আপোষ করানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাইন্দু পাড়া প্রধান থোয়াইসা মারমার উপস্থিতিতে এই বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় মেম্বার গংবাসে মার্মা এর ভাষ্যমতে, সামাজিক সালিশে ভুক্তভোগীর বক্তব্যে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুর দিকে পাইন্দু হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা রাংমেশের মার্মার ছেলে শৈহাইনু মার্মা প্রথম তাকে ধর্ষন করে পরে বিষয়টি তার মাধ্যমে তার বন্ধু ক্যাহ্লা ওয়াইং, ক্য ওয়ং সাই, চহাই, উহাই সিং ও ক্য সাই ওয়ং জানতে পারে।
পরে সামাজিক ভয় দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে এই ছাত্রীকে তারা ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এতে সবার মধ্যে এই ঘটনা জানাজানি হয় যায়।
পরে মারমা সামাজিক বিচারে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী ৫ জনকে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও চিকিৎসার খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভিকটিমের পিতা চিংহ্লামং মারমা’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন তবে স্থানীরা সহযোগিতা করলে সত্য ঘটনা বলতে রাজি আছি বলে জানিয়েছেন।
এদিকে গতকাল রাতে ঘটননাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথম প্রকাশীত হওয়ার সাথে সাথে তা রীতিমতো সমালোচনার ঝড় তোলে,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি জানান।

এ বিষয়ে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী বলেন,পুলিশ সুপার এর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ভিকটিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি।আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাউছার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষনিক ভাবে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত উহাইসিং,ক্যহ্লাওয়াং,ক্যসাইওয়াং মারমা নামে তিনজনকে আটক করে।তাদের বান্দরবান সদর থানায় নিয়ে আশা হচ্ছে।বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

 

 

আরো পড়ুন

 

ভ্রমন প্রেমীদের পছন্দের তালিকায় বান্দরবানের দামতুয়া ঝর্ণা

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট