মধু পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এটি আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয়। এই দিনকে “মধু পূর্ণিমা” বা “মধু মহোৎসব” বলা হয়। গৌতম বুদ্ধ যখন বনে ধ্যানরত ছিলেন, তখন এক বানর মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে বুদ্ধের কাছে দান করেন। আবার এক হাতি বুদ্ধের জন্য ফলমূল দান করেছিলেন। বুদ্ধ সেই দান সানন্দে গ্রহণ করেন। এ থেকেই মধু পূর্ণিমার সূচনা হয়। বলে জানায় রোয়াংছড়ি কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহারে বিহারধ্যক্ষ ভদন্ত উ. পঞঞানান্দ মহাথের
সকালে শতশত ভক্তিরা মধু দান, ফুলফল, পিঠা,ভিক্ষুদের খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য দান করেন। এ দিনটিতে মধু দান করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধরা হয়।
বাংলাদেশে বিশেষ করে মারমা, চাকমা, তংঞ্চঙ্গ্যা, বড়ুয়া সহ প্রভৃতি পাহাড়ি সম্প্রদায় অত্যন্ত আনন্দ ও ভক্তি ভরে মধু পূর্ণিমা উদযাপন করে। এদিন ভোরে মন্দিরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ধর্মদেশনা, পঞ্চশীল গ্রহণ, বুদ্ধ পূজা এবং দান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
মধু পূর্ণিমা উপলক্ষে শত শত ভক্তের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে রোয়াংছড়ি উপজেলা কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহার- সহ বিভিন্ন বিহার গুলো।
রোয়াংছড়ি উপজেলা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মহা মধু পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রোয়াংছড়ি কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহার,বটলী পাড়া মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার , আমতলী বৌদ্ধ বিহার, লিরাওগই পাড়া বৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে শুরু হয় প্রার্থনা, মধু দান সহ, গুরু ভক্তি, ছোয়াইং দান (বৌদ্ধ ভিক্ষু খাবার দান)। বিকালে সমবেত প্রার্থনা, হাজার প্রদীপ প্রজ্বলনসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।
এদিকে সকালে বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় দেশনা ও বিকেলে শীল প্রদান করেন রোয়াংছড়ি উপজেলা কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত উ. পঞঞানন্দ মহাথের।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শীল গ্রহন করেন, বিহারে উপাসক-উপাসিকারা ও দায়ক দায়িকা বৃন্দ।
আরো পড়ুন
বান্দরবানে প্রান্তিক তরুণদের কণ্ঠে উঠছে স্বাস্থ্য অধিকারের দাবি