বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় অধ্যাপক ডা.মো: ইব্রাহিম এর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী (সেবা দিবস) উদযাপন উপলক্ষে”ডায়াবেটিক রোগের সচেতনতা” শীর্ষক তারুণ্যের ফি মেডিকেল ক্যাম্প, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল বান্দরবান ডায়াবেটিক সমিতির আয়োজনে ও রেনাটা পিএলসি এবং ভেকসিন কো ফার্মার সহযোগিতায় ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় বান্দরবান ডায়াবেটিস হাসপাতাল কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম হাসান।
বান্দরবান ডায়াবেটিস সমিতির সহ-সভাপতি চহ্লা প্রু জিমি এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওসমান গনি, ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক লিটনের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডায়াবেটিস সমিতির মো:আমিন উল্লাহ,সিরাজুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন,শফিকুল আলম বাবুল, আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,জসিম উদ্দীন তুষার, মিনারুল হক,আনিসুর সুজন,সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী।
অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগীর লক্ষ্যণ ও করনীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপনা করেন বান্দরবান ডায়াবেটিস হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. অং চা লু মারমা। রোগীদের সেবা প্রদান করেন বান্দরবান সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রসংজিত,বান্দরবান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মেডিকেল অফিসার ডা.তাহমিনা করিম রুপা,ডা.মিথু ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,ডায়াবেটিস হল শরীরের এমন একটি গুরুতর অবস্থা, যখন আমাদের শরীর নিজে থেকে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা তৈরি হওয়া ইনসুলিন দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করতে পারে না। এর ফলে রক্তে শর্করার বা গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়।
বক্তারা আরো বলেন,বটাইপ ১ ডায়াবেটিস বর্তমানে পুরোপুরি সারানো সম্ভব নয়, তবে টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়মিত ডায়েট, ব্যায়াম এবং ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ডায়াবেটিসের প্রথম সতর্ক সংকেত কী কী? বারবার প্রস্রাব হওয়া, অতিরিক্ত তৃষ্ণা, অস্বাভাবিক ক্লান্তি, অযৌক্তিক ওজন কমে যাওয়া, এবং দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া ডায়াবেটিসের প্রাথমিক সতর্ক সংকেত।
ডায়াবেটিসের জটিলতা কী হতে পারে?
দীর্ঘমেয়াদে নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ডায়াবেটিস হৃদরোগ, কিডনি বিকল, চোখের রেটিনা ক্ষতি, স্নায়ুর সমস্যা এবং পায়ের ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য করণীয় কী? সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার, এবং নিয়মিত রক্তে শর্করা পরীক্ষা প্রতিরোধে সহায়ক।
আরো পড়ুন